১৪ জুলাই বিশ্বকাপ ওঠছে নতুন চ্যাম্পিয়নের হাতে। একপেশে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ২৭ বছর পর ফাইনালে ইংল্যান্ড৷ ইংলিশ পেসারদের তোপে ২২৩ রানে অলআউট অস্ট্রেলিয়া৷ স্টিভ স্মিথের ফিফটিতে মান রক্ষা অজিদের। জবাবে জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টোর ওপেনিং জুটি কাজ সহজ করে দেন। ৮ উইকেটে জয় পায় ইংল্যান্ড।
দুই রানমেশিন ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ সেমিফাইনালে দলের প্রয়োজন মেটাতে ব্যর্থ। বিশ্বকাপ অভিষেকে খালি হাতে ফিরেছেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব। জোফরা আর্চার ও ক্রিস ওকসের তোপে বিধ্বস্ত টিপ অর্ডার।
তিন টপ অর্ডারকে হারিয়ে মনোবল ভেঙেছে। এর সঙ্গে আর্চারের বাউন্সে রক্ত ঝড়েছে অ্যালেক্স ক্যারির। চাপের মধ্যে দৃঢ়তা দেখান ক্যারি। স্টিভেন স্মিথের সাথে গড়েন ১০৩ রানের জুটি।
টুর্নামেন্টে ফ্লপ আদিল রাশিদ সেমিফাইনালে বাজিমাত করেন৷ একই ওভারে ফেরান ক্যারি ও মার্কাস স্টয়নিসকে।
মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন স্মিথ। স্রোতের বিপরীতে করেন ফিফটি। এরপর লোয়ার অর্ডারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ২২ আর মিচেল স্টার্কের ২৯ রানে ২২৩ সংগ্রহ অস্ট্রেলিয়ার। সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে ৮৫-তে রানআউট হয়েছেন স্মিথ।
ওডিআইতে তিনশ, চারশ রান ইংল্যান্ডের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ২২৪ টার্গেটে দুই ওপেনারের উড়ন্ত শুরু। ১২৪ রানের জুটিতে জয় সহজ হয়ে যায়। ফিফটি করেন জেসন রয়।
দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমাতে পারেনি অজি বোলাররা। জো রুট, এউইন মরগ্যান জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। এক আসরে ২৭ উইকেট নিয়ে স্বদেশি গ্লেন ম্যাকগ্রাকে ছাড়িয়ে যান মিচেল স্টার্ক।